প্রকাশিত: ১৭/০৫/২০১৬ ৭:১৮ এএম

sogআবদুল মজিদ ,চকরিয়া :
চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পক্ষের ভুরিভোজ আয়োজনে হামলা করেছে সভাপতি পক্ষের অনুসারী লোকজন। সোমবার দুপুরে উপজেলার কাকারা ইউনিয়নে হযরত শাহ ওমর (রা:) মাজারে হামলার এঘটনা ঘটে। এতে আওয়ামীলীগের ৪কর্মী আহত হয়েছে।
আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা জানান, ওইদিন সকালে মাজারে নেতাকর্মীদের জন্য ভুরিভোজের আয়োজন করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফাসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী। এরআগে সকালে উপজেলার ফাসিয়াখালীস্থ আপন কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলমকে বাদ দিয়ে সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আয়োজন করা হয় কর্মীসভার।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ, না জানিয়ে সভা ডাকার ঘটনাটি জানতে পেরে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলমের অনুসারী লোকজন মাজারে গিয়ে ভুরিভোজের মাংস পোলাও পুকুরে ফেলে দিয়েছেন। ওইসময় ডেকসি, চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়। মারধর করা হয় উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আনন্দ মোহন দেসহ চারজনকে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফাসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সোমবার সকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের একটি কর্মীসভা ডাকা হয়। সভা শেষে শাহ ওমর (রা:) মাজারে নেতাকর্মীর জন্য ভোজের আয়োজন করা হয়। কিন্তু আমরা সেখানে যাওয়ার আগেই উপজেলা সভাপতির অনুসারীরা মাজারে গিয়ে হামলা করলে এ ঘটনায় আ.লীগ নেতাসহ চারজন আহত হন।
চকরিয়া থানার ওসি জহিরুল ইসলাম খাঁন বলেন, হামলার ঘটনা শুনে তাৎক্ষনিক সেখানে ছুঁেট যাই। ওইসময় মাজারের খাদেমসহ নেতাকর্মীরা ভাঙচুরের কিছু আলামত প্রদর্শন করেন। তবে এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলম বলেন, কোন সভা আহবান করতে দলের গঠনতন্ত্র মেনে করতে হবে। আমি দলের উপজেলা কমিটির সভাপতি, সুতারাং আমাকে না জানিয়ে বা আমার অনুপস্থিতিতে এই সভা ডাকা আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি। বিষয়টি নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে জানাজানি হলে মুলত আমি তাঁদের শান্ত করতে মাজারে যাই। সেখানে অন্য কোন ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের এক সিনিয়র নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রায় ৭৫জন সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মধ্যে অন্তত ৪৮জন সদস্য উপজেলা সভাপতি জাফর আলমকে অনাস্থা দিয়ে রেজুলেশন পাশ করে জেলা কমিটি বরাবরে জমা দেওয়া হয়েছে। এমনকি ওই সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে নির্ধারণ করে জেলা কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। এবিষয়টি জেনেই উপজেলা সভাপতি ও তার সমর্থিক নেতাকর্মীরা মাজারে গিয়ে হামলার এঘটনা করেছে বলে জানায়।

পাঠকের মতামত

নাইক্ষংছড়িতে নাশকতার অভিযোগে মামলা,আটক -৩, এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে ৬৫ জন

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে নাশকতার অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৬৮ জনের বিরুদ্ধে নাশকতা ...

৮১ রোহিঙ্গা আটক

পার্বত্য জেলার বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার পোয়ামুহুরী সীমান্ত দি‌য়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় ৮১ জন ...